সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস ৫ থেকে ১০

By jahidul

Updated on:

সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস ৫ থেকে ১০

সময়ের মূল্য রচনাঃ  প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো? আশাকরি ভালো আছো।সময়ের মূল্য রচনা প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষাথীদের জন্য অনেক গুরুত্ব পূর্ণ রচনা।  আজ আমি তোমাদের সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস 6,সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস 8,সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস 7,সময়ের মূল্য রচনা ২০ পয়েন্ট,সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস ৯,সময়ের মূল্য রচনা সহজ,সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস ২,সময়ের মূল্য রচনা ১০ পয়েন্ট, সহ সকল ক্লাসের সময়ের মূল্য রচনা সম্পর্কে জানাবো। এটা সাধারণত প্রতিটা পরীক্ষায় আসতে পারে। সময়ের মূল্য রচনার গুরুত্ব অনেক।

মানবজীবন ক্ষুদ্র কিন্তু সময় অনন্ত। তাই আমাদের প্রত্যেকের সময়ের মূল্য বিষয়ে জানতে হবে।নির্দিষ্ট সময়ে সকল কাজ করাই হলো নিয়ামানুবর্তিতা। অন্য কথাই সময়ের কাজ সময়ের করাকে গুরুত্ব দেওয়াই আমাদের সকলের উচিত। কেননা মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী। এ অল্প জীবনে কাজের কোন শেষ নেই। যদি নিয়ম মেনে সময় মত সব কাজ করা হয় তাহলে যে কোন কাজেই আমাদের কাছে সহজ হয়। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা সময়ের কাজ সময়ে করো তবে দেখবে জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারবে। বিশেষ করে ছাত্র জীবনে সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। তবে আমরা ছাত্র জীবনে উন্নত লাভ করতে পারব। তোমরা যদি আমার দেওয়া রচনাটি ভালো ভাবে পড় । তাহলো তোমরা প্রতিটি ক্লাসে এই রচনাটি লিখতে পারবে। চলো কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-

ই পোস্ট টি পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

রচনাঃ সময়ের মূল্য

সূচনাঃ অনন্ত প্রসারিত সময়ের যাত্রাপথ। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের যে মুহূর্তে অতীত হয়ে যায় তা আর কখনোই ফিরে আসে না। নদীর দুরন্ত স্রোতকে ক্ষণিকের জন্য হলেও বাধাগ্রস্ত করা যায় কিন্তু সময়ের প্রবাহকে কখনোই প্রতিহত করা যায় না। এ অনন্তকাল প্রবাহের মধ্য মানুষের জীবন ক্ষুদ্র পরিসরে আবদ্ধ। এ অমূল্য সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর মধ্যেই জীবনের সার্থকতা ও সফলতা নিহিত। সময় নিরবধি, কিন্তু মানব জীবন সংক্ষিপ্ত। মানুষের কাছে সময় তাই অমূল্য ধন। ””সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের ন্যায় “”

তাই কবি উইন বার্ন বলেন,   his life is a vision on a watch between a sleep and a sleep. দুই প্রান্তের ঘুম, ঘুমের মতো অন্ধকার। মাঝখানে শুধু একটুখানি চোখ মেলে চাওয়াই জীবন। জীবনের এই সীমাবদ্ধতার জন্য বাংলা লোকো কবিও অশ্রু বিসর্জন করেছেন। এ সীমাবদ্ধতার জন্য জীবন আমাদের কাছে অমূল্য ও আকর্ষণীয়।

মানব জীবনের সময়ের গুরুত্বঃ মানবজীবন ক্ষুদ্র কিন্তু সময় অনন্ত। মানুষ তার ক্ষুদ্র জীবন পরিসরে বহন করে চলে অসংখ্য দায়িত্বভার। সে চায় সংক্ষিপ্ত জীবন সীমার মধ্যে বহুবির দায়িত্বে ও কার সমাপ্ত করতে। অর্থাৎ সীমাবদ্ধ সময়ের ক্ষুদ্রতর পরিসরে তাকে সম্পূর্ণ করতে হবে নানা কর্তব্য। জীবনের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাকে শেষ করতে হবে কর্তব্যকর্ম। কিন্তু আলস্য, অবহেলা, কর্তব্য কর্ম থেকে জীবনকে বিচ্যুতি করে ফেলে। তখন আর সম্ভব হয় না সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্তব্যকর্মগুলোকে শেষ করা।

চলমানো তার জন্য সময় মানুষের কাছে ক মূল্য সম্পদ। অর্থবান লোকেরা ইচ্ছে মতো জগতে যেকোন দ্রব্য ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু সময়কে ক্রয় করা যায় না। সময় মানুষের সকল ক্রয়ক্ষ ক্ষমতার উর্ধ্বে। পার্থিব জগতের সমস্ত কিছুকে অনায়াসে উদ্ধৃত অবহেলা করে সময় বাধা বন্ধ হারা দ্রুত ছুটে যায়। জগতের কোন কিছুর প্রতি তার আসক্তি নেই শুধু চলা আর চলা। তাই মানব জীবনের সময়ের মূল্য অনেক।

সময়ের সদ্ব্যবহারঃ মানব জীবন অতি ক্ষুদ্র, অতি সংক্ষিপ্ত। কিন্তু কর্তব্য ও দায়িত্ব অনেক ব্যাপক। তাই সব সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন যেন কোনোভাবে সময়ের অপচয় না ঘটে। কারণ সময় একবার চলে গেলে তার কখনোই ফিরে আর পাওয়া যায় না। আলসো অবহেলায় মূল্যবান সময়কে কেউ যদি অপচয় করে তবে তার জীবনে অপূর্ণতা থেকে যাবে। সেজন্য করণীয় কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন করা উচিত। তাই কবি কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে _

” চাষা যেআলস্য ভরে 
বিষ বপন না করে 
পক্ক শস্য পাবে সে কোথায়? “

সময়ের সদ্ব্যবহার সম্পর্কে যারা সচেতন নয় তারা কখনোই সাফল্য অর্জন করতে পারে না। তাই সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলো কেউ গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কাজ করে যেতে হবে।

জীবন ও সময়ের মূল্যবোধঃ ছাত্র জীবন ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার প্রস্তুতি পর্ব। ভবিষ্যৎ জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যময় করে গড়ে তুলতে যে গুনটি অপরিসীম তা হল সমানুবর্তিতা। ছাত্র জীবনকে ফল পশু ও অর্থবাহ করে গড়ে তোলার অন্যতম উপায় হিসেবে সময় অনুবর্তিতা সম্পর্কে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যেসব ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত পড়ালেখা করে না তারা কখনোই ভালো ফলাফল লাভ করতে পারে না। মূলত সময় অনুবর্তিতা সম্পর্কে সচেতন হতে পারলে তবে ছাত্র জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করে গড়ে তোলা সম্ভব।

সময়ের অপচয়ঃ সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতন না হলে কখনোই তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। সময় চিরদিনই মানুষকে ফাঁকি দিয়ে বর্তমানে সাঁকো পেরিয়ে চলে যাচ্ছে অতীতে। যে সময় চলে যায় তার কখনো ফিরে আসে না। তাই প্রত্যেকের উচিত সময়ের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। সময়ের অপচয় ব্যক্তির জীবনের মতো জাতীয় জীবনকেও দুর্বিষহ করে তোলে  করে তোলে। আমাদের সবাই উচিত সময়ের সদ্ব্যবহার করা। সময় অপচয় না করা। কারণ সময় একবার চলে গেলে ফিরে আসে না। যে ব্যক্তি জীবনে সময়কে যত মূল্য দেয় সে ব্যক্তি তত বেশি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।

“নিত্যান্ত নির্বোধ যেই_শুধু সেই জন
অমূল্য সময় করে বৃথাই যাপন”

কে কত দীর্ঘদিন বেঁচেছে তা বড় কথা নয় কে জীবনে মহৎ কর্মের উদযাপন করেছে তাই বড় কথা। শৈশবের কর্মজীবনে প্রবেশের তরুণ দার।এ সময় জীবনের প্রস্তুতির কাল। তাই এ সময় কি আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের সময় অপচয় করা যাবে না।

সময়ের মূল্যবোধের অর্থঃ আসল কথা হলো সময়ের যথার্থ মূল্যবোধয় জীবনকে জীবনে সাফল্য অর্জনের প্রথম স্বপন। সময়ের মূল্যবোধ হল যে সময়ের যে কাজ সে সময়ে তার সম্পাদন করা। যে তা করেনা সে সময়ের অমর্যাদা সময়ের অপচয় করে। তার জীবনে পরাজয় হয়। সময়ের এ অবহেলার জন্য ভবিষ্যতে তাকে কাঁদতে হবে। যে কৃষক ফসলের ঋতুতে ফসলের বীজ রোপন না করে আলস্য সময় অতিবাহিত করে ফসল ওঠার সময় সে আশা করতে পারে। তার ফসল অবশ্যই খারাপ হবে। তখন তার কেঁদে বুক ভাসানো ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। মানব জীবনেও সেই একই কথা। জীবনে যখন শক্তি থাকে সামর্থ্য থাকে মাটি উর্বর থাকে তখন আলস্য অযথা জীবন না কাটিয়ে সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তবে জীবনে উন্নত হবে।

কাজেই রোদ থাকতে ধান শুকিয়ে নিতে হবে “make your hay,when the sun shiness.” 

উপসংহারঃ মহাকালের সময় প্রবাহে মানুষের জীবন নিত্যান্ত ক্ষণস্থায়ী। স্বল্পায়ু জীবনে মানুষের রয়েছে বিভিন্ন কর্মের ভার। কর্মের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয় জীবন। তাই জীবনে কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময় জ্ঞান। সময়ের সদ্ব্যবহার এর মাধ্যমেই জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায়। শৈশবকালের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে ব্যবহার করলে এবং অমূল্য সময়ের অপচয় না করে প্রতিটি দুর্লভ মুহূর্তকে জীবন ক্ষেত্র প্রয়োগ করলে পরবর্তীকালে সুখ-শান্তি দুটোই পাওয়া যাবে। তাই সফল ও মহৎ জীবন গড়তে প্রত্যেকের ওই সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া আবশ্যক।

বাস্তবই কই নদীর স্রোতের মতো সময় ও দ্রুত বহমান। কোথাও সেই স্থির থাকে না, কারো জন্য অপেক্ষা করে না। মানুষের জীবনে সময়ের সে চলার ছন্দে সুর বেঁধে ছুটে চলেছে জন্ম থেকে মৃত্যুর অভিমুখে। তার এই নির্মম নিষ্ঠুর চলার মাধ্যমেই তো সময় আর তেমন কাঙ্খিত এত মূল্যবান। তাই জীবনে যখন শক্তি থাকে তখনই আমাদের কর্মজীবন বেছে নিতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করলে জীবনের সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়। প্রতিটা মানুষের সাফল্যর পেছনে সময়ানুবর্তিতা অপরিহার্য। আমাদের ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে সব সময় সময়ের গুরুত্ব দিতে হবে।সময়ানুবর্তিতা  সাফল্য লাভের চাবিকাঠি। (না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো)

সময়ের মূল্য রচনা ক্লাস 6

শেষ কথা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলোর মাধ্যমে আমি তোমাদের সময়ের মূল্য সম্পর্কে জানালাম। আশা করি তোমরা সবই বুঝতে পারছ।

এখানে আমি তোমাদেরকে সময়ের মূল্য কি? কিভাবে আমরা সময়ের প্রতি মূল্য দেব, আমাদের ছাত্র জীবনের সময়ের মূল্যের গুরুত্ব কি?সময়ের কাজ  সময়ে করতে হবে এসব কিছু সম্পর্কে আমি আলোচনা করেছি । আশা করি উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো পড়ে তোমরা সময়ের মূল্য সম্পর্কে জানতে পারবে। আরো জানতে পারবে যে তোমাদের প্রতিটি কাজে প্রতিটি চলাফেরায় সময়ের মূল্য কিভাবে দিতে হবে। তারপর আরো জানতে পারবে যে আমাদের জীবনে সময়কার সময়ে করতে হবে সময়ের কাজ সময়ে না করলে আগামী দিনের জন্য  ফেলে রাখলে কখনো সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি আমি তোমাদেরকে সময়ের মূল্য ক্লাস ফাইভ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা দিয়েছি। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো পড়লে তোমরা অবশ্যই সময়ের মূল্য সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

শিক্ষকঃ মোসাঃ বিথী খাতুন

Leave a Comment